Advertisement

৪ থেকে ৫ আগস্ট কী ঘটেছিল সেনাভবনে?



জুলাই অভ্যুত্থান তখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। 

আন্দোলন দমাতে রাজধানীসহ সারাদেশে চলছে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের নির্বিচারে ছাত্র হত্যার প্রতিযোগিতা। মানুষ মেরে প্রশংসা পাচ্ছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে সে সময় সরকারের বর্বরতায় সহযোগিতা না করে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফেরাতে ছাত্রজনতার পক্ষে অবস্থান নেয় সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান হাসিনা পলায়নের আগের রাতেই রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। 4 আগস্ট রাতে বিএনপি নেতা মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবরকে পরের দিন সকালে ওয়ান টু ওয়ান মিটিংয়ের জন্য ডাকেন তিনি। 

৫ আগস্ট ওই নেতা সকাল দশটায় উপস্থিত হন সেনা ভবনে। ওই বৈঠক প্রসঙ্গে মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর আমার দেশকে বলেন, সেনাপ্রধান তার সঙ্গে আলোচনায় তিনটি বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা কোনো ধরনের রক্তপাতের অংশীদার হব না। আমি কোনো ক্ষমতা চাই না এবং দেশের পরিস্থিতি নিয়ে দ্রুত সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার ইতি টানতে চাই।

চার তারিখের রাত্রে ফাস্ট মিডনাইট এ রিসিভড যার কোয়েস্ট টু কাম টু রেসিডেন্স নেক্সট ক্লক দ্বারা ওয়ার্ক। মেয়েটি ফিজিক্যালি ওয়ান টু ওয়ান সারপ্রাইজ যা আমাকে কেন?

তিনটা পয়েন্ট বললাম। 
নাম্বার ওয়ান জেসচার। আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু ফাদার স্পিল অব ব্লাড। সেকেন্ড এনি পাওয়ার। আমি কোন ক্ষমতা চাই না। দ্যাট আই ওয়ান্ট টু ক্লোজ র‍্যাপ আপ বাইক কনসালটিং উইথ মেজার স্টেক হোল্ডার। আমি বললাম, দ্যাট মিনিং সেভ দ্য পার্টিজ অব দ্য কান্ট্রি।

সেনা ভবন থেকে বেরিয়ে মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর যোগাযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাক্তার শফিকুর রহমান ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সাথে। তাদের জানানো হয়, দুপুরে সেনা প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। পরে ফজলে এলাহী আকবর বেলা দেড়টায় আবারও সেনা ভবনে যান। সে সময় তিনি আরো কিছু রাজনৈতিক দলের নেতাদের সেখানে দেখতে পান,যাদের সঙ্গে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদ যোগাযোগ করেছেন। দুইটার দিকে সেনাপ্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের জানান, প্রধানমন্ত্রী দেশ ত্যাগ করেছেন। আমরা এখন একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করব। তিনি এ সময় রাজনৈতিক দলের নেতাদের সহযোগিতা চান। এতে সবাই সম্মতি দেন।

এর কিছুক্ষণ আগে সেনাসদরে পৌঁছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এরপর প্রবেশ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার কিছুক্ষণের মধ্যে জামায়াতের আমির ডাক্তার শফিকুর রহমান সেনা ভবনে যান। এরপর আসেন জোনায়েদ সাকি, ফিরোজ মাহমুদ ও অধ্যাপক আসিফ নজরুল। এ ছাড়া জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা মামুনুল হক ও মুফতি ফয়জুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। সেনা ভবনে রাজনৈতিক দলের নেতারা অবস্থান করেন সেনাপ্রধানের অফিসের বাইরে অতিথি কক্ষে। সে সময় পরবর্তী সরকারে কারা আসতে পারে তা নিয়ে কেউ কেউ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। উপস্থিত একজন অধ্যাপক আসিফ নজরুলের কাছে জানতে চান, অন্তর্বর্তী সরকারে কারা আসবেন, সে ব্যাপারে কোনো হোমওয়ার্ক আছে কি না। জবাবে আসিফ নজরুল জানান, কয়েক দিন ধরে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। এসব নিয়ে চিন্তা করার সময় কোথায়?

বৈঠক শুরু হলে রাজনৈতিক দলের নেতারা সেনাপ্রধানকে পরামর্শ দেন, তিনি যেন জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন এবং জানান, শীঘ্রই একটি বেসামরিক সরকার গঠন করা হবে।

সেনাপ্রধান এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর আমির ডাক্তার শফিকুর রহমানকে দেশবাসীকে শান্ত থাকতে টেলিভিশনে কথা বলার জন্য অনুরোধ জানান। তবে তারা বলেন, ক্যান্টনমেন্ট থেকে তাদের কথা বলা ঠিক হবে না। বাইরে গিয়ে বলবেন। এরপর সেনাপ্রধান রাজনৈতিক নেতাদের তার সঙ্গে বঙ্গভবনে যাওয়ার অনুরোধ করেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রথমে বঙ্গভবনে যেতে রাজি হননি। এ সময় আনিসুল হক মাহমুদ বলেন, আমাদের সবার বঙ্গভবনে যাওয়া উচিত। সেনাপ্রধান বলেন, আপনারা আমার পাশে থাকুন। তখন সবাই বঙ্গভবনে যেতে রাজি হন। তবে বৈঠকে হেফাজত নেতা মুফতি ফয়জুল্লাহর উপস্থিতি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মাওলানা মামুনুল হকসহ আরও দুই আলেম। 

তাকে শেখ হাসিনার দোসর বলে আখ্যায়িত করা হয়। ফলে তাকে আর বঙ্গভবনে নেয়া হয়নি। একটি মিনিবাস ও জিপে চড়ে উপস্থিত রাজনৈতিক নেতারা বঙ্গভবনের পথে রওয়ানা হন। অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জোনায়েদ সাকি ও ফিরোজ আহমদ জিপে চড়ে রওয়ানা হন। মিনিবাসে ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ডাক্তার শফিকুর রহমান, জিএম কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ফয়জুল করিম, মাওলানা মামুনুল হকসহ অন্য রাজনৈতিক নেতারা। রাস্তায় লাখো মানুষের উপস্থিতির কারণে ধীরে চলতে থাকে তাদের বহনকারী জীপ ও মিনিবাস। পেছনে ছিল সেনাবাহিনীর কয়েকটি গাড়ি। যেখানে ছিলেন সেনাপ্রধানসহ তিন বাহিনীর প্রধান জাহাঙ্গীর। গেট পার হওয়ার পর জনস্রোতে আটকে যায় গাড়িগুলো। এ সময় আসিফ নজরুল গাড়ি থেকে নেমে জনতার উদ্দেশ্যে কথা বলেন। অপর দিকে মিনিবাসে থাকা জিএম কাদের ও আনিসুল হক ছিলেন ভীত সন্ত্রস্ত। তারা জানালার পর্দা টেনে নিচু হয়ে থাকেন। যাতে কোনোভাবেই সাধারণ মানুষের নজরে না পড়েন। 

মাগরিবের আজানের কিছুক্ষণ পর রাজনৈতিক দলের নেতা ও সেনাপ্রধানের গাড়িবহর বঙ্গভবনে প্রবেশ করে। বঙ্গভবনে প্রবেশের পর দরবার হলের পাশে একটি কক্ষে মাওলানা ফয়জুল করীমের ইমামতিতে নামাজ আদায় করেন ডাক্তার শফিকুর রহমান, মির্জা আব্বাস ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতারা। এরপর সেনাপ্রধান বঙ্গভবনে পৌঁছালে তার সঙ্গে থাকা সেনা কর্মকর্তারা নামাজ আদায় করেন। ওই জামাতে ইমামতি করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। পরে দরবার হলে শুরু হয় বৈঠক। এর মধ্যে মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হকসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতা বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন।

বঙ্গভবনের দরবার হলে সেদিন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত থাকলেও আন্দোলনের মূল শক্তি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক বা নেতা উপস্থিত ছিলেন না। অভিযোগ ওঠে, সমন্বয়ক পরিচয়ে যারা বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন তাদের কেউই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন না। বিষয়টি একাধিক সমন্বয়ক আমার দেশকে নিশ্চিত করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ছাত্র ও সমন্বয়ক ইব্রাহিম মাহমুদ আমার দেশকে জানান, সমন্বয়ক পরিচয়ে বঙ্গভবনে যাওয়া ব্যক্তিরা কেউই সমন্বয়ক ছিলেন না। তবে তারা কখন, কীভাবে বঙ্গভবনে উপস্থিত হলেন তা জানতে চাইলে জামায়াত নেতা শেখ মোহাম্মদ মাসুদ জানান, সমন্বয়ক পরিচয়ে কয়েকজন বঙ্গভবনে প্রবেশের আগে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি তৎপর হয়ে ওঠেন। তিনি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জানান, কয়েকজন সমন্বয়ক আসবেন তাদের যেন দরবার হলে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে সমন্বয়ক পরিচয়ে পাঁচ জন প্রবেশ করেন। 

এ ব্যাপারে আমার দেশের পক্ষ থেকে জোনায়েদ সাকির কাছে জানতে চাইলে তিনি তার ভূমিকার কথা অস্বীকার করে বলেন, তার সঙ্গে কথিত সমন্বয়কের কোনো যোগাযোগ ছিল না। তিনি গণতন্ত্র মঞ্চের তিন নেতাকে বঙ্গভবনে ঢুকতে দেয়ার জন্য সেনা কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছিলেন। দরবার হলের বৈঠক শেষে তাদের সঙ্গে নিয়ে অধ্যাপক আসিফ নজরুল গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেন। তাদের ছাত্র প্রতিনিধি ও সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। 

এ ব্যাপারে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক জানান, এ বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই। মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর বলেন, কয়েকজন ছাত্র মিটিং এ একেবারে শেষ পর্যায়ে পৌঁছান। অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে তাদের দেখা যায়। তিনি আরও জানান, সেনা ভবন ও বঙ্গভবনে ছাত্রদের প্রসঙ্গ তেমনভাবে আলোচনায় আসেনি ওই মুহূর্তে। কিন্তু আমরা প্রথমে যখন বসছি সমন্বয়ক বলতে কেউ আসেনি। আমার রাইট পাশে আসিফ নজরুল ছিল। তার পাশে ছিল জুনায়েদ। তবে ওখানে যখন পরবর্তীতে যখন বের হয়ে গেছে। বাইরে সবাই টিভির সামনে স্টেটমেন্ট এনেছে। তখন একটা ছেলে একটা মেয়ে আসছে ট্রেনিং দেয়ার জন্য।

 রিপ্রেজেন্টেটিভ আর এদিক থেকে আসিফ নজরুল ওয়াজ একচুয়ালি আস্কিং ফর্টি সমন্বয়ক টু কাম। ঐ মুহূর্তে আমি এই একটা ছেলে একটা মেয়েকে যাকে আমি পরবর্তীতে এখন আমি কোথাও দেখি না। এ ছাড়া কেউ জানে না মেয়েটি তার ওয়ান অফ দ্য কোর্ডিনেটর। সেন্টার ফিগার যারা মানে আর এখন যাদেরকে দেখা যাচ্ছে একই পজিশনে আছে গভমেন্ট। 

আসিফ নজরুলের যে দ্যাখেন, মনে রাখবা ইফ ইউ সে ফেইল টু সিলেক্টেড রাইট পিপল। তোমরা যেই গর্ত থেকে আসছে সেই গর্তে কিন্তু তোমরা আবার পড়বা কেয়ারফুল। আবার সিলেক্টিভ পিপল, যাদের জন্য এই গত 15 বছরের পাস্ট ইতিহাস প্রত্যেকের জানতে হবে। ওইদিন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে করা আলোচনা গুরুত্ব পেলেও এখনো কথিত সমন্বয়ক দের নিয়ে বিভ্রান্তির অবসান হয়নি .........................

মতামতঃ-
ক্রমানুসারে

Advertisement

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

  1. মিরাজ বিশ্বাসই করতে পারছেন না, ৩২১ রান করেও হারতে হয়েছে

    তিনটি নাম আর কিছু সংখ্যা এদিক-ওদিক হয়েছে, আর না হলে সেন্ট কিটসে গতকাল বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ত…আরও পড়ুন

  2. কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা: রেমিট্যান্সের ডলার ১২৩ টাকা

    দেশের ব্যাংকগুলোকে ১২৩ টাকার বেশি দামে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় না কেনার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ…আরও পড়ুন

  3. দিল্লিকে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ করতে বলেছিলেন শেখ হাসিনা

    ক্ষমতায় থাকার শেষ চেষ্টা হিসেবে ভারতে পালানোর আগে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট সকালে সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা…আরও পড়ুন

  4. ২০২৪ জুলাই এ নিহত অনেককে ‘বেওয়ারিশ’ হিসেবে দাফন, পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা কম

    রায়েরবাজার কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা ব্যক্তিদের কতজন গণ–অভ্যুত্থানে নিহত, কোন কবর কার, তা …আরও পড়ুন

  5. ঢাকায় রিপোর্টার্স ইউনিটিতে পরিবারের উদ্যোগ মরহুম এ টি এম ওয়ালী আশরাফের ৩০তম স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

    আজ ঢাকায় রিপোর্টার্স ইউনিটিতে পরিবারের উদ্যোগ মরহুম এ টি এম ওয়ালী আশরাফের ৩০তম স্মরণ সভার আয়োজন …আরও পড়ুন

  6. বিপিএল ২০২৫ সময় সূচি

    আরও পড়ুন

  7. মিয়ানমার নিয়ে বৈঠকে বাংলাদেশ, ভারত, চীনের যেসব হিসাব নিকাশ

    মিয়ানমারের সংকট নিয়ে দেশটির প্রতিবেশী বিশেষ করে সীমান্তঘেঁষা দেশগুলোর প্রতিনিধিরা থাইল্যান্ডে বৈঠকে…আরও পড়ুন

  8. সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা ৩০ জুনের আগেই

    চাকরিজীবীদের জন্য আগামী ৩০ জুনের আগেই মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয…আরও পড়ুন

  9. এবার দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিল আরএসএস

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘসহ (আরএসএস) কয়েকটি সংগঠন বাংলাদেশে ‘হিন্দু নিপীড়নে’র অভিযোগ তুলে এবার দিল্ল…আরও পড়ুন

বিভাগের খবর